আগৈলঝাড়ায় স্থানীয় যুবকেরা স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করলো রাস্তা

স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিলে সেচ্ছায় নিজেদের অর্থদিয়ে বালু ক্রয় করে বুধবার সকালে বস্তাদিয়ে রাস্তাটি মেরামত করছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা কালুরপাড়-কাঠিরা-দুশমি রাস্তাটি। দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পরায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। উপজেলা এলজিইডি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের কালুরপাড় ব্রীজ থেকে কাঠিরা বাজার হয়ে দুশমি বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় খানাখন্দ হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাজারের ব্যবসায়ী, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করছে। রাস্তাটির কিছু জায়গায় ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। ওই রাস্তায় চলাচলকারী অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসী এলজিইডি বিভাগে বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হয়নি। রাস্তার গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও বাজারে আসা পথচারী ও যানবাহন চালকদের। পথচারী ও গাড়ির যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁচেছে চরমে।
কাঠিরা গ্রামের বাসিন্দা চিনময় বাড়ৈ, রির্চাড বিশ্বাস, বিপ্লব হালদার বিল্যু, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুদীন অধিকারী জানান, মানুষের চলাচলের জন্য আমরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে বালু কিনে বস্তাভরে রাস্তায় মেরামত করছি।
তারা আরো জানায়, রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ও ভ্যান, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করছে।উপজেলা সদরে সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ, বিএইচপি একাডেমী, এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় শতশত শিক্ষার্থী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে।
চিনময় বাড়ৈ বলেন ,মানুষের চলাচলের জন্য আমরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে বালু কিনে বস্তাভরে রাস্তায় মেরামত করে দিয়েছি।
ইজিবাইক চালক মিঠু অধিকারি ও আজিজ ফকির বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় গাড়ির চাকা বলুতে ডেভেযায় চালানো যায়না। এই রাস্তা দিয়ে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া অসম্ভব। সুস্থ-সবল মানুষও অসুস্থ হয়ে পরছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী (দায়িত্বপ্রাপ্ত) রবিন্দ্র চক্রবর্তি জানায়, আমি সরেজমিনে পরিদর্শ করে দেখবো। যদি দেখি মেনটেনেন্স করার মতো তাহলে আমি উর্ধতন কর্মকতাকে জানিয়ে পরবর্তি ব্যবস্থা নিবো।