গৌরনদীতে সংরক্ষিত কাউন্সিলরকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবিনা ইয়াসমিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী (সিএ) মো. রাজুর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরে গৌরনদী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জব্দকৃত জাটকা অসহায় দুঃস্থদের মাঝে বিতরণকালে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গৌরনদী থানা পুলিশ গত শনিবার রাতে গলাচিপা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বেপারী পরিবহনে তল্লাশী করে ১০ মন জাটকা জব্দ করে। গতকাল দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাটকা অসহায় দুস্থ ও বিভিন্ন এতিমখানায় বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। সেখানে গৌরনদী পৌরসভার সংরক্ষিত (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলর সাবিনা ইয়াসমিন ও উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী (সিএ) মো. রাজু উপস্থিত ছিলেন। জাটকা বিতরণের সময় সাবিনা ইয়াসমিন ও রাজুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাবিনা ইয়াসমিনকে চড়-থাপ্পড় দেয় রাজু। পরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ হোসেন মুন্সী রাজুকে গালমন্দ করে মহিলা কাউন্সিলরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করান।
সাবিনা ইয়াসমিন জানান, এলাকার এক গরীব মহিলা তার কাছে এসে কিছু জাটকার আবদার করে। ওই মহিলাকে নিয়ে তিনি জাটকা বিতরণস্থল উপজেলা পরিষদের সামনে যান। এ সময় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. রাজু একটি ব্যাগ ভর্তি করে জাটকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসম রাজুর পিছু নেন তিনি। রাজু তাকে দেখে ক্ষেপে যান। রাজু তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে পৌর কাউন্সিলরের কাজ কি। তাকে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এ সময় তিনি রাজুকে সংযত হয়ে কথা বলতে বলেন। রাজু উল্টো তাকে গালমন্দ করে এবং ধাক্কা দেয়। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউএনওকে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলেন তিনি।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুন্সী জানান, নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী (সিএ) মো. রাজুর এমন আচরণ ঠিক হয়নি। রাজু ক্ষমা চেয়েছেন। রাজুকে সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে এ ধরণের আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী মো. রাজু বলেন, নারী কাউন্সিলরকে গালাগাল কিংবা লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।