ববিতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত’র ঘটনায়, জাতির পিতার ছবি অবমাননা

হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী চলছে সেই মূহূর্তে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখ রাসেল পাঠাগারে ভাঙচুর করে জাতির জনকের ছবি মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং তার স্বামীকে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল পাঠাগার ভাঙচুর করে। এসময় ওই পাঠাগারে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ছবি ভাঙচুর করে এ ঘটনার হামলাকারীরা। এমন ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সুশিল সমাজ ও রাজনীতিবিদরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এক দম্পতি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুতে বেড়াতে যায়। এ সময় স্থানীয় যুবক জাহিদ হোসেন জয় ওই দম্পতিকে লাঞ্ছিত করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী স্থানীয় লিটন ও জয়ের বাড়ি এবং শেখ রাসেল পাঠাগারে হামলা ও ভাঙচুর করে। ওই পাঠাগারের সকল আসবাব পত্রসহ জাতির জনকের ছবি ভাঙচুর করে নিচে ফেলে রাখতে দেখা যায়।
ওই সময়ে শিক্ষার্থীরা পাঠাগারে কেন হামলা চালিয়েছে তা এখনও রহস্যজন রয়েগেছে। জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে যে অবমাননা করেছে বলে মনে করেন সুশিল সমাজ ও রাজনীতিবিদরা। তবে এ বিষয় কেউ এখন পর্যন্ত মুখ খুলেনি। সকলেই বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে এড়িয়ে গেছে বলে জানান রাজনীতিবিদরা।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত বলেন, ‘আমিও এ বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। এমন ঘটনা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করে থাকে সেটা অনুচিতৎ হয়েছে। কারন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এমনটা আশা করা যায় না। তবে এর বিচার হওয়া উচিৎ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ‘এই ভাঙচুর কারা হয়েছে আমাদের ক্যম্পাসের বাহিরে। তবে জাতির জনকের ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে এ বিষয়ে আমরা অবগত না। তবে এ বিষয়ে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। জাতির জনকের ছবি অবমাননা করা ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীর উপর হামলা ও মারধারে ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর স্বামী বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএমপি’র বন্দর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য সাইদুল আলম লিটন ও তার অনুসারী বখাটে জাহিদ হোসেন জয় ও মামুন মোল্লাসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।