বরিশালে নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

বরিশালে নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানীর ঢল এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে বরিশালের নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে বরিশাল নগরীসহ বিভাগের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরিপে বরিশাল নগরী সহ জেলার হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার চরাঞ্চল জোয়ারের সময় মেঘনা, কালাবদর, কীর্তনখোলা, আড়িয়ালখাঁ নদীর পানী বিপদ সীমার (২৫৫ সেন্টিমিটার) ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

ভাটার সময় উচু এলাকার পানি নেমে গেলেও এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে থাকে। হঠাৎ করে পানিতে এসব এলাকা ডুবে যাওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বাসা বাড়িসহ রাস্তাঘাট পানিতে প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। 

এছাড়া ভোলার দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা নদীর পানি বিপদ সীমা (৩৪১ সেন্টিমিটার) অতিক্রম করে ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর পানি বিপদসীমা (২৮১ সেন্টিমিটার) অতিক্রম করে ১১  সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপদ সীমার (২০৮ সেন্টিমিটার) ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিষখালী নদীর বরগুনা পয়েন্টের পানি বিপদসীমার (২৮৫ সেন্টিমিটার) এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পাথরঘাটা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার (২৮৫ সেন্টিমিটার) সমান্তরালে প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদ সীমা (২৬৮ সেন্টিমিটার) ছুয়েছে। 
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বেল্লাল হোসেন বলেন, নিম্নচাপের কারনে সাগরে ৩ নম্বর সতর্কতা সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারনেই নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। 

এদিকে কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়ানগর, রূপাতলী, ১২নং ওয়ার্ডের খ্রিস্টান কলোনী, চাঁদমারী, রসুলপুর, স্টেডিয়ামের পেছনের অংশ, পাউবোর দপ্তরের একাংশ, চাঁদমারী, নবগ্রাম সড়ক, বেলতলা, পলাশপুর এলাকা এবং সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ও চরবাড়িয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার কিছু বাসা বাড়িতে পানি ডুকে পড়েছে। এছাড়া পাকা সড়ক হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যান বাহন ও পথচারীদের। 

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সফি উদ্দিন বলেন, বর্তমান আবহাওয়া ও নিম্নচাপের কারণে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গেছে। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে পানির চাপ বেড়ে গিয়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই নদীর পানি কমে যেতে পারে বলে তারা ধারনা করছেন।