বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডের দুই পাশের বাসিন্দাদের সম্পদের ক্ষতি না করে বাইপাস (গড়িয়ারপাড়-কুদঘাটা-কালিজিরা) হয়ে ভাঙ্গা-ফরিদপুর ফোরলেন নির্মানের দাবী উঠেছে। এই দাবীতে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বরিশাল শহর বাইপাস মহাসড়ক উন্নয়ন বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা। সোমবার সকাল ১১টায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুশীল কুমার সাহার কাছে স্মারকলিপি দেন নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বরিশাল শহর বাইপাস মহাসড়ক উন্নয়ন বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোক্তা মো. আবু জাফর, জাকির হোসেন সুলতান ও মো. মুকিবুর রহমান মুকিব সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ফোরলেনের কারনে নগরীর প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপাড় থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত সিএন্ডবি রোডের দুই পাশের ২শতাধিক ৫তলা সহ ৫ শতাধিক ভবন, হাজারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ২০টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪টি মসজিদ, ২টি মন্দির, সরকারী শিশু সদন, সড়ক বিভাগ কার্যালয়, বিএডিসি, টিটিসি, মৎস্য ভবন সহ একাধিক সরকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বরিশালের মানুষ দির্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছে, ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের নগরী অংশের ১১ কিলোমিটার সিএন্ডবি মহাসড়কে (গড়িয়ারপাড়-দপদপিয়া) ভারী যানবাহনের প্রচুর চাপ। এছাড়া হাজার হাজার হালকা যানবাহনের কারনে সিএন্ডবি রোডের দুই পাশের হাজার হাজার মানুষ রাস্তা পারপার হতে পারে না। দুই পাশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত রাস্তা পারাপারে ভোগান্তির শিকার হন। ঝূঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ে হতাহত হন বরিশালের মানুষ। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত ফোরলেনটি নগরীর বর্তমান সিএন্ডবি রোড না হয়ে মূল শহরের এক পাশ দিয়ে গড়িয়ারপাড়-কুদঘাটা-কালীজিরা হয়ে দপদপিয়া পর্যন্ত বাইপাস হয়ে নির্মানের দাবী জানানো হয় স্মারকলিপিতে। বাইপাস হয়ে ফোরলেন নির্মিত হলে সড়ক বিভাগের কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন।
সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকার প্রধানকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরামর্শ দেন।
সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ভাঙ্গা থেকে-কুয়াকাটা পর্যন্ত ২৩৬.৭৪ কিলোমিটার ফোরলেন নির্মানে বর্তমান সিএন্ডবি রোডের (মহাসড়ক) দুই পাশে ২০ ফুট করে মোট ৩০২.৭০ একর জমি অধিগ্রহন করবে সরকার। গত জুন মাসে জমি অধিগ্রহনের প্রশাসনিক অনুমোদন হয়ে গেছে। জমি অধিগ্রহনে ১ হাজার ৮শ’ ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার প্রাক্কলন তৈরী হয়েছে। প্রথম দফায় জমি অধিগ্রহনের জন্য ৪৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এখন সড়ক বিভাগ থেকে সংশ্লিস্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরপর স্ব-স্ব জেলা প্রশাসক কার্যালয় ওই জেলার অন্তর্ভূক্ত ফোরলেনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহন করে সড়ক বিভাগকে বুঝিয়ে দেবে বলে সড়ক বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন।